শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সিলেটের বহুল আলোচিত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলার একমাত্র আসামি বদরুল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় বদরুলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপর ১২টার দিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ মামলার রায় দেন। এর আগে গত রোববার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা রায়ের এই তারিখ নির্ধারণ করেন। গত ১ মার্চ আদালত পরিবর্তন করে সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। রোববার আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানান, আসামি বদরুলের উপস্থিতিতে আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী ৮ মার্চ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য দেন হামলার শিকার খাদিজা আক্তার নার্গিস। মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জন সাক্ষ্য দেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য প্রদানকালে খাদিজা আদালতকে বলেন, আমার শরীরের যে যে স্থানে আসামি আঘাত করেছে, সেসব জায়গায় দাগ আছে। সে আমাকে সারা জীবনের জন্য প্রতিবন্ধী করেছে। আমি আসামি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। আমি বিচার চাই। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) প্রায় তিন মাস চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে নিজ বাড়ি সিলেটের আউশায় ফিরেন কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় বদরুল আলমের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা। গুরুতর আহত অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ারে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর খাদিজাকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত বদরুল আলম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনার পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।